স্টুডেন্টদের জন্য দুর্দান্ত পার্ট টাইম জব/ Bd Jobs

স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব কোথায় পাবো? আমরা অনেকেই কাজ করতে চাই কিন্তু কর্মসংস্থানের অভাবে কাজ করতে পারিনা। কিন্তু আজকের এই পোস্টে আমরা এমন কিছু উপায় শেয়ার করব যা আপনার আগামী জীবন গুলোকে বদলে দিবে। আপনি যদি পার্ট টাইম জব করতে চান তাহলে আমরা আপনাকে হাজারো উপায়ে দেখাতে পারবো চলুন ঝোটপট দেখে নেই স্টুডেন্টদের জন্য দুর্দান্ত পার্ট টাইম জব/ Bd Jobs, মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম, অনলাইনে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় হল। 
স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
আজকের এই পোস্টে আমরা স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব গুলো শেয়ার করব। কোন জবগুলো অথবা কাজ গুলো স্টুডেন্টদের জন্য সেরা হবে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন স্টুডেন্টদের জন্য ইনকাম করা খুবই সোজা হয়ে গেছে। তাই প্রযুক্তির কল্যাণ কি কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন।নিচে দেখুন স্টুডেন্টদের জন্য দুর্দান্ত পার্ট টাইম জব/ Bd Jobs , মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম এবং অনলাইনে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো।

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম 

বর্তমান যুগে 2024 সালের ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের সমান অধিকার থাকলেও মেয়েরা ছেলেদের মত বাইরে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেনা। ছেলেটা বাইরে যে যে কোন কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবে কিন্তু মেয়েরা চাইলেই তা করতে পারবে না। ফ্যামিলি থেকে বাধা থাকে আর একদিকে লোকে কি বলবে এই সমস্ত কথা ভেবে মহিলারা বাইরের ছেলেদের মতো কাজ করতে পারে না। 

এখন প্রযুক্তি কল্যাণে মহিলারাও চাইলে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করে নিজের দৈনন্দিন জীবনকে উন্নত করতে পারবে। আপনার মধ্যে যদি ইনকাম করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমরা আপনাকে হাজারো উপায় দেখাতে পারবো যে উপায় অনুসরণ করলে আপনি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। নিচে দেখুন মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় গুলো।

টিউশনি
আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে বিশেষভাবে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে টিউশনি করার মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন টিউশনে দুইভাবে করতে পারবেন একটি অফলাইন পদ্ধতিতে আর একটি অনলাইন পদ্ধতিতে। অফলাইন পদ্ধতিতে অর্থাৎ বাসায় যে ছেলেমেয়েকে টিউশনি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

এছাড়াও অনলাইনে টিউশনি করার জন্য এখন বিশাল সুযোগ রয়েছে। Preply skooli, tutor me এই ওয়েবসাইটগুলোতে টিউশনি করিয়ে টাকা উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে। আপনি চাইলে এই ওয়েবসাইটগুলোতে কোর্স আকারে ভিডিও বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার কোর্সগুলো যদি খুব ইন্টারেস্টিং হয় এবং আপনার কোর্সের মাধ্যমে যদি ছেলে মেয়েরা উপকৃত হয় তাহলে আপনি শুধুমাত্র টিউশনি করনের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং 
বর্তমান যুগে অনলাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজের নাম হল ফ্রিল্যান্সিং। যেখানে কোন বস নেই কোন কাজের চাপ নেই আপনি নিজেই আপনার বস হিসেবে কাজ করবেন। চাকরিতে বস থাকে ব্যবসাতে মালিক থাকে যাদের অর্ডার শুনে আপনাকে কাজ করতে হবে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এখানে আপনার কোন বস নেই কিন্তু মালিক নেই আপনি নিজেই আপনার বস আপনার যদি ইচ্ছা হয় তাহলে আপনি কাজ করবেন আপনার যদি ইচ্ছা হয় তাহলে আপনি কাজ থেকে  বিরতি নিবেন।

আপনার মধ্যে যদি সামান্য ছোটখাটো কিছু দক্ষতা থাকে তাহলে সেই দক্ষতা কি কাজে লাগিয়ে আপনি প্রতিমাসে বিশ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এখন অনলাইনে ইনকামের সুযোগ সুবিধা অনেকেই জন্য অনেকেই এখন প্লাস থেকে নিজের অন্যতম একটি পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। অনলাইন এ কাজ করার জন্য গুগলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে হাজারো ক্লায়েন্ট রয়েছে।

ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো ব্যবহার করে এবং তাদের কর্ম সম্পাদন করে দেওয়ার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।  ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ বিবরণের কাজ রয়েছে আপনি যে কাজটি পারেন। সে কাজটি করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যেমন আপনার যদি বাংলা লেখা লিখি দক্ষতা খুব ভালো থাকে কিংবা মোবাইল ফোনে যদি আপনি বাংলা টাইপিং এ মাস্টার হয়ে থাকেন তাহলে বাংলা লেখালেখি করে কনটেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে প্রতি মাসে ৩০০০০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। 

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে টাকা উপার্জন করার জন্য সবচেয়ে সেরা একটি উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। লাঞ্চিং করার জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন হাতে থাকা একটি ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাংলা লেখার কি করে কনটেন্ট তৈরি করে প্রতি মাসে মোটা ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

হ্যান্ডমেড পণ্য
অনলাইনে হাতের তৈরি জিনিসের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি হস্তশিল্পের কাজ জানেন তাহলে লোকাল মার্কেটে কিংবা অনলাইন মার্কেটে বিক্রি করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউবে বিভিন্ন প্রকার হ্যান্ডমেড পণ্যের ভিডিও দেওয়া রয়েছে কিভাবে বানাতে হয়। 

সেই সমস্ত ভিডিও দেখে বিভিন্ন প্রকার হ্যান্ড মেইড পণ্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন এখন হ্যান্ড মেড পণ্যগুলোর দাম অনেক বেশি। যেমন হ্যান্ডমেড রুমাল তৈরি করতে পারেন। হ্যান্ডমেড ব্যাগ জামার ডিজাইন শার্টের উপর হ্যান্ডমেড পেইন্টিং। 

অনলাইনে অনেকে আমার হ্যান্ডমেড পণ্য তৈরি করে বিক্রি করে এবং তাদের পণ্যগুলো চড়া দামে বিক্রি করা হয়। হ্যান্ডমেড কোন লোকাল মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন আবার অনলাইন মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন। ফেসবুক ওপেন করলেই এখন দ্রব্য সামরিক কিংবা পণ্য সেবার অ্যাড আসে। এইগুলাই  মূলত ফেসবুক মার্কেটিং। 

এভাবে আপনার হ্যান্ডমেড বোনের মার্কেটিং করে ফেসবুকের মাধ্যমে এক থেকে দুই মিনিটে শত শত ক্রেতা পেয়ে যাবেন। ফেসবুকে পণ্য বিক্রি করার জন্য প্রথমে আপনার হ্যান্ড মেড পড়লেন নামে একটি পেজ ওপেন করতে হবে। তারপর রেগুলার পণ্যগুলো ছবি ফেসবুকে আপলোড করবেন এতে আপনার জনপরিচিতি বৃদ্ধি পাবে।

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ইনকাম করার উপরের এই তিনটি উপায় সেরা হবে আপনারা যেটা মহিলারা ঘরে বসে ইনকাম করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য হ্যান্ডমেড পণ্য বিক্রয়, ফ্রিল্যান্সিং এবং টিউশনি। এই তিনটি কাজ মহিলাদের জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তবে কাজের তালিকা এখানেই শেষ নয় আজকের এই পোস্টে আমরা আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ নেই আলোচনা করব তাই উপকার পেতে সাথেই থাকুন। 

স্টুডেন্টদের জন্য দুর্দান্ত পার্ট টাইম জব/ Bd Jobs 

আপনি কি স্টুডেন্ট?  পড়াশোনার পাশাপাশি দুর্দান্ত পার্ট টাইম জব পেলে বেশ সুবিধা হয়। এমন অনেকেই আমাকে কমেন্ট বক্সে জিজ্ঞাসা করেন যে পড়াশোনার পাশাপাশি অবশ্যই সময়ে পার্ট টাইম জব হিসেবে কি করা যায়? পার্ট টাইম জব বলতে অবসর সময়ে দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা যে জব গুলো করা হয় এগুলোকে মূলত পারসেন্ট জব বলা হয়। আর ফুল টাইম জব বলতে যে জবগুলো সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত করা হয়। 

স্টুডেন্টদের পক্ষে তো সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করা সম্ভব নয় এক্ষেত্রে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব সেরা হবে। তবে পার্ট টাইম জব হিসেবে কি করা যায়? পার্ট টাইম জব হিসেবে কল সেন্টার কাজ করতে পারবেন ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করতে পারবেন টিউশনি করিয়ে কাজ করতে পারবেন কিংবা অনলাইনে কাজ করতে পারবেন। অথবা আপনার যদি কোন দোকান থাকে তাহলে দোকানে বসে পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

বেশিরভাগ স্টুডেন্ট এখন টিউশনি করিয়ে টাকা ইনকাম করছে। লক্ষ্য করে দেখবেন যারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রয়েছে কিন্তু কলেজে শিক্ষার্থী রয়েছে তারা প্রত্যেকে টিউশনি করিয়ে এক্সট্রা টাকা ইনকাম করে।। আবার অনেকেই ছোটখাটো কোচিং সেন্টারে কাজ করে টাকা ইনকাম করে। আপনি যদি কোন একটি বিষয় বিশেষভাবে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সেই বিষয়ের উপর কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন।

কোচিং সেন্টার খুলে শিক্ষার্থীদেরকে পোড়ানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটি এক প্রকার সেবা। স্টুডেন্টদের জন্য দুর্দান্ত পার্ট টাইম জব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে দেখে নিন। নিচে এবং অনলাইন উভয় পদ্ধতিতেই পার্ট টাইম জব করার নিয়ম গুলো দেওয়া রয়েছে। 

  • কল সেন্টারে কাজ
  • ফ্লেক্সিলোড এর কাজ 
  • রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ
  •  ডেলিভারি বয় হিসেবে পার্ট টাইম জব 
  • বিউটি পার্লারে কাজ করে টাকা ইনকাম 
  • বাগান তৈরি করে টাকা ইনকাম 
  • ওয়েবসাইট কাস্টোমাইজ করে টাকা ইনকাম
  • এডসেন্স তেল দিয়ে টাকা ইনকাম 
  • জিমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম 
  • Instagram মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম 
  • Instagram অথবা facebook ফলোয়ার বিক্রি করে টাকা ইনকাম 
  • টপ আপ সেল দিয়ে টাকা ইনকাম 
  • দর্জি এর কাজ করে টাকা ইনকাম
  • অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম
  •  Facebook গ্রুপ থেকে ইনকাম 
  • ভিডিও ক্রিয়েট করে ইনকাম 
  • অ্যানিমেশন তৈরি করে ইনকাম 
  • মিম তৈরি করে টাকা ইনকাম 
  • ছেলেমেয়েদেরকে টিউশনি করিয়ে টাকা ইনকাম 
  • কোচিং সেন্টারে কাজ করে টাকা ইনকাম
  • হ্যান্ডমেড পণ্য যেমন ফুলদানি রুমাল ব্যাগ বিক্রি করে টাকা ইনকাম
  • গৃহপালিত পশুপাখি লালন পালন করে টাকা ইনকাম।
  •  পার্শিয়ান ক্যাট পালন করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম।
  • সার্ভে কমপ্লিট করে টাকা ইনকাম। 
  • অনলাইন সেবা প্রদান করে টাকা ইনকাম।
  • অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে পার্ট টাইম জব 
  • ইউটিউবে হ্যান্ডমেড পণ্য এর ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম।
  • ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম।
  • Winjo থেকে গেম খেলে টাকা উপার্জন।
  • আর্টিকেল লিখে পার্ট টাইম জব 
  • ব্লগিং করে পার্ট টাইম জব
  • Seo এক্সপার্ট হিসেবে পার্ট টাইম জব।
  • টি-শার্ট ইডিটিং করে টাকা ইনকাম।
  • গুগল এডসেন্স থেকে ইউটিউবের মাধ্যমে টাকা ইনকাম 
  • লোগো ডিজাইন করে পার্টটাইম জব 
  • একজন ডিজিটাল মার্কেট হিসেবে পার্ট টাইম জব 
  • সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং করে পার্ট টাইম জব
  • বুক কভার এডিটিং করে টাকা ইনকাম।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং করে পার্ট টাইম জব 
  • ইউটিউবে রান্নার প্রশিক্ষণ দিয়ে টাকা ইনকাম 
  • হ্যান্ডিক্রাফট এর কাজ করে টাকা ইনকাম 
  • হ্যান্ডমেড পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে টাকা ইনকাম 

আপনি যদি অনলাইন থেকে পার্টটাইম জব করতে চান কিংবা অফলাইন পদ্ধতিতে পার্ট টাইম জব করতে চান তাহলে ওপরের  অনুসরণ করতে পারেন।ওপরে আমরা টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন পদ্ধতি শেয়ার করলাম। যেমন অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম কিংবা হ্যান্ডিক্রাফটের কাজ করে টাকা ইনকাম হ্যান্ডিক্রাফটের কোন কাজ যদি আপনি জানেন তাহলে সেই বিষয়ে ইউটিউব ভিডিও মেক করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম।

ইউটিউবে রান্নার প্রশিক্ষণ দিয়ে টাকা ইনকাম ইউটিউব থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রতি মাসে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি অবশ্যই সময়গুলোতে দুই থেকে তিন ঘন্টা ইউটিউবে সময় দিলে খুব সহজেই গুগোল এডসেন্স এপ্রুভাল দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের লোগো ডিজাইন করার মাধ্যমে বাট টি শার্ট ডিজাইন করার মাধ্যমে অথবা বুক কভার ডিজাইন করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

গৃহপালিত পশুপাখি লালন পালন করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আমরা অনেকেই অবলা পশুপাখি লালন পালন করতে খুব ভালোবাসি তাদেরকে লালন পালন করার মধ্যেও আলাদা একটি শান্তি রয়েছে। এক্ষেত্রে গৃহপালিত পশু-পাখি লালন পালন করে ভালো টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 

বর্তমান সময়ে পারসিয়ান ক্যাটের চাহিদা অনেক বেশি। দুইটি পার্সেন্ট ক্যাট ক্রয় করে তাদেরকে দারুণ পালন করুন এবং তাদের বাচ্চা হলে সে বাচ্চাগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে মোটেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন বর্তমান সময়ে একটি পার্শিয়ান বিড়ালের দাম প্রায় ১৭,০০০ থেকে ১৮ হাজার টাকা। 

আপনি যদি লোগো ডিজাইন করতে পারেন কিংবা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার মাধ্যমে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। একজন গ্রাফিক ডিজাইনের প্রতিমাসের বেতন প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা। গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করার জন্য ফটোশপ ব্যবহার করা জানতে হবে এবং ফটোশপের প্রতিটি টুলের কি কাজ সে সম্পর্কে জানতে হবে।

কোচিং সেন্টারে কাজ করতে পারবেন 

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা এখন পার্ট টাইম জব হিসেবে টিউশনে কিংবা কোচিং সেন্টারে কাজকে বেছে নিচ্ছেন। কোচিং সেন্টারে কাজ করলে তাদেরকে পড়ানোর মাধ্যমে আপনারও পড়া গুলো চর্চায় থাকবে। এতে আপনিও সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবেন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজের জ্ঞান বিস্তার করতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে অনলাইনেও টিউশনি করাতে পারেন টিউশনের জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে এই ওয়েবসাইটগুলোতে টিউশনের বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেওয়া রয়েছে। 

টপ আপ সেল দিয়ে টাকা ইনকাম

অনলাইনে এখন টপ আপ সেল দিয়েও টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে এখন অনেক ছেলেমেয়েরা ফ্রি ফাই কিংবা pubg খেলতে ভালোবাসে। আর এই গেম গুলোতে কিছু সিস্টেম রয়েছে ডায়মন্ড অথবা ইউসি এর মাধ্যমে গান কালেকশন অথবা ড্রেস কালেকশন কিংবা আরো অন্যান্য কালেকশন ক্রয় করার। অনেকেই জানেনা কিভাবে pubg তে কিংবা ফ্রী ফায়ার এ ইউ সি অথবা ডায়মন্ড ক্রয় করতে হয় আপনি চাইলে তাদের কাছে ডায়মন্ড অথবা ইউসি সেল দেওয়ার মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই এভাবে টপ আপ সেল দিয়ে টাকা ইনকাম করে। 

ডাটা এন্ট্রি করে টাকা ইনকাম 

স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব করার সেরা একটি কাজ হল ডাটা এন্ট্রি করে টাকা ইনকাম ডাটা এন্ট্রি বলতে বোঝায় এক জায়গার তথ্য কে নিয়ে আর এক জায়গায় ইনপুট দেওয়া। এই কাজটি খুবই সোজা শুধু এক জায়গা তথ্যকে কপি করতে হবে অথবা সে তথ্য দেখে দেখে অন্য আর এক জায়গায় ইনপুট দিতে হবে অর্থাৎ টাইপ করতে হবে। ডাটা এন্ট্রির প্রত্যেকটি প্রজেক্ট শেষে প্রায়  ৯/১০ ডলার দেওয়া হয় নয় থেকে দশ ডলার বাংলা টাকায় কনভার্ট করলে প্রায় ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা।

তাহলে প্রতিদিন একটি করে প্রজেক্ট কমপ্লিট করলে প্রায় দিনের ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা ইনকাম হচ্ছে এভাবে যদি প্রতিদিন একটি করে প্রজেক্ট কমপ্লিট করেন তাহলে প্রতি মাসে প্রায় ৩০০০০ থেকে ৩১ হাজার টাকা ইনকাম হবে। স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব হিসেবে ডাটা এন্ট্রি কাজ সবচেয়ে পারফেক্ট আপনি চাইলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য গুগলে বেশ কিছু ওয়েবসাইট দেওয়া রয়েছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম 

পার্ট টাইম জব হিসেবে অন্যতম একটি উপায় হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায়, কোন একটি প্রতিষ্ঠান অথবা কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে  সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা। যেমন আপনার যদি একটি facebook পেজ থাকে সেখানে ভালো ফলোয়ার্স থাকে তাহলে আপনি আপনার ফেসবুক পেজে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলো সম্পর্কে দুই লাইন লিখে লিঙ্কটি শেয়ার করুন। 

এতে আপনার লিংকে ক্লিক করে যত মানুষ সে পণ্য ক্রয় করবে, আপনি সেখান থেকে কিছু পার্সেন্ট কমিশন লাভ করবে।  এতে কোম্পানির ব্যবসা দ্বিগুণ হবে এবং আপনিও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজটি সবচেয়ে সহজ। এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কোন খাটাখাটনি অথবা পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র লিংক শেয়ার করে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে দুই লাইন লিখতে হবে।

অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম 

বাংলাদেশে এখন বেশ কিছু অ্যাপস অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন Swagbucks, taskbucks, winjo, add wallet, pocket money, winjo। এই অ্যাপগুলো থেকে সার্ভে কমপ্লিট করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। এখন এই অ্যাপস গুলো থেকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে এই অ্যাপস গুলো থেকে ফ্রি লটারি খেলার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। পাশাপাশি এড দেখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং গেম খেলেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে প্যাকিংয়ের কাজ খুব ভালো হবে। প্যাকিংয়ের কাজ করার জন্য কোন অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন নেই পাশাপাশি খুব বেশি খাটাখাটনি এর কাজ বলে ভুল হবে। প্যাকিংয়ের কাজ খুব সহজে করা যায় এবং এই কাজটি অল্প খাটাখাটনি সম্পন্ন এতে খুব সহজে যেকোন মানুষ প্যাকিং এর কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবে। মহিলাদের জন্য এই কাজটি পারফেক্ট ভাবে ঘরে বসে অবশ্যই সময় পাকের কাজ করে প্রতি মাসে 10000 থেকে 15000 টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ডেলিভারি বয় হিসেবে পার্ট টাইম জব 

বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে ডেলিভারির অপশন রয়েছে অর্থাৎ যদি কল করে বলা হয় তাহলে ডেলিভারি ম্যান যে খাবারটি বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে এই ডেলিভারি ম্যান এর কাজ করেও প্রতি মাসে 10000 থেকে 12 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অথবা দারাজে ডেলিভারি বয় রয়েছে দারাজ ডেলিভারি হিসেবে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে টাকা ইনকামের হার নির্ভর করে আপনি কতগুলো পণ্য অথবা প্রোডাক্ট ডেলিভারি করেছেন তার ওপর। 

আপনি যত বেশি পণ্য ডেলিভারি করবেন আপনার ইনকামের হার ঠিক ততই বেশি হবে। আবার ফুড পান্ডা রয়েছে ফুড পান্ডাতে ডেলিভারি মানের কাজ করে মোটা টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ডেলিভারি করার জন্য সাইকেল অথবা মোটরসাইকেল থাকলে ডেলিভারি করতে বেশ সুবিধা হবে। মোটরসাইকেল থাকলে রাইডারের কাজ করতে পারবেন। 

ফলোয়ার্স বিক্রি করে টাকা ইনকাম 

এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ফলোয়ার্স বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস যেমন ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকে ফলোইং অপশন থাকে। এখানে ফাদার্স যত বেশি হবে জনপ্রিয়তা ঠিক ততই বেশি হবে এই জন্য অনেকে কিছু ফেক ফলোয়ার্স কিনে নেন এই ফলোয়ার্স গুলোর সাহায্যে নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেন।

এক্ষেত্রে আপনি চাইলে ফলোয়ার্স বিক্রি করেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন ইনস্টাগ্রামে এক হাজার ফলোয়ার্স অথবা ফেসবুকে এক হাজার ফলোয়ার্স বিক্রি করলে ১০০ টাকা ইনকাম হয়। ২০০০ ফলোয়ার্স এর দাম ২০০ টাকা। আর দশ হাজার ফলোয়ার্সের দাম ১০০০ টাকা।

Gmail বিক্রি করে টাকা ইনকাম 

Gmail বিক্রি করে কি টাকা ইনকাম করা যায়? হ্যাঁ আমাদের অনেকের জিমেইল দিয়ে অনেক কাজ থাকে এক্ষেত্রে প্রচুর জিমেইলের প্রয়োজন হয়। তবে একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এতগুলো জিমেইল বানানো সম্ভব নয় এক্ষেত্রে তারা অন্যান্য ব্যক্তির থেকে জিমেইল ক্রয় করে নেন। আপনি চাইলে আনলিমিটেড জিমেইল তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন। 

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক ক্লাইন্ট gmail ক্রয় করতে চান তাদের কাছেও চাইলে জিমেইল বিক্রি করতে পারবেন। আনলিমিটেড জিমেইল তৈরি করার জন্য প্লে স্টোর ওপেন করে সার্চ দিন টেম্পোরারি gmail। তারপর এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে আনলিমিটেড জিমেইল তৈরি করতে পারবেন। ইচ্ছা অনুসারে নাম দিয়ে জিমেইল তৈরি করতে পারবেন। যেমন ebcdhh@gmail.com , hajaua@gmail.com।

ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করে ইনকাম 

অনেকে ওয়েবসাইট কাস্টোমাইজ করতে পারে না এক্ষেত্রে তাদের ওয়েবসাইট কাস্টোমাইজ করে দিয়েও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিটি ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করে প্রায় এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন এভাবে যদি প্রতিদিন একটি করে ওয়েবসাইট করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে ৩০০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করা জানেন তাহলে ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করে মোটা টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যারা ওয়েবসাইট বিক্রি করে তাদেরকে ওয়েবসাইট ডেভেলপার বলা হয়। একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপারের প্রতি মাসের বেতন প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা।

কল সেন্টারের কাজ

শিক্ষার্থীদের জন্য পার্ট টাইম জব হিসেবে এই কিছু বর্ণ সুযোগ হলো কল সেন্টারের কাজ। কল সেন্টারে কাজ করে প্রতি মাসে প্রায় দশ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কল সেন্টারে কাজ করা খুবই সহজ এখানে বিশেষ কোনো ভারী কাজ নেই শুধুমাত্র কলে কথা বলতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ কল গুলো এটেন্ড করতে হবে।। বাংলাদেশের বিভিন্ন  টেলিযোগাযোগ অপারেটর রয়েছে যেমন বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল এবং জিপি সিম।

এই প্রতিটি সিম কোম্পানিগুলোতে কল সেন্টারে কাজ করার জন্য মানুষ নিয়োগ দেওয়া হয় এই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে কল সেন্টারে কাজ করতে পারবেন তবে এখানে কাজ করার জন্য আপনার কথা বলার যোগ্যতা অনেক ভালো হতে হবে। এবং গুছিয়ে কথা বলতে হবে। চিন্তার কোন কারণ নেই কল সেন্টারে কাজ শুরু করার আগে বেশ কিছুদিন প্র্যাকটিসে নেওয়া হয় এবং প্রত্যেকটি শিখিয়ে দেওয়া হয় কিভাবে কোথায় কথা বলতে হবে।

কল সেন্টারের কাজ করার জন্য ভাষাগত দক্ষতা প্রয়োজন পাশাপাশি ইংরেজি এবং বাংলা ভাষায় বিশেষভাবে লক্ষ্য হতে হবে। স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে হবে শ্রবণ শক্তি ভালো হতে হবে। মানুষের সাথে ভালোভাবে কথা বলা জানতে হবে ভালো ব্যবহার করতে হবে ভালো শ্রোতা হতে হবে অন্যের মতামত জানতে হবে এবং নিজের মতামতটি তুলে ধরতে হবে।

এই কাজটি খুবই সোজা তবে এটি পার্ট টাইম জব করলে ভুল হবে কারণ দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা কল সেন্টারে উপস্থিত থাকতে হবে। আপনি চাইলে রাতের ডিউটি করতে পারবেন অথবা দিনে ডিউটি করতে পারবেন। আপনার যোগ্যতার উপর নির্ভর করে কলসেন্টারে কাজ দেওয়া হবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন স্টুডেন্টদের জন্য দুর্দান্ত পার্ট টাইম জব/ Bd Jobs সম্পর্কে। স্টুডেন্টদের জন্য উপরের এই কাজগুলো সেরা হবে পড়াশুনার পাশাপাশি অবশ্যই সময় ওপরের এই কাজ গুলো করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব সম্পর্কে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ঘরে বসে হাতের কাজ। 

ঘরে বসে হাতের কাজ 

ঘরে বসে হাতের কাজ করতে চান?  এখন মহিলাদের জন্য সবচেয়ে সেরা কাজ হলো ঘরে বসে হাতের কাজ করা কারণ এই টিম করার জন্য বাইরে যেতে হয় না ঘরে বসে সম্পাদন করতে পারছেন। আবার এই কাজগুলো করার জন্য প্রচুর মূলধনেরও প্রয়োজন হয় না। অল্প মূলধন এবং নিজের ব্রেন খাটিয়ে কাজগুলো করে লোকাল মার্কেটে অথবা অনলাইনে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

এখন ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল ভিডিও পাওয়া যায় যে ভিডিওগুলো দেখে খুব সহজেই আর হ্যান্ড মেড পণ্য তৈরি করতে পারবেন। হ্যান্ডমেড পণ্য বলতে বোঝায় যে সমস্ত পণ্যগুলো তৈরি করতে কোন প্রকার মেশিনের প্রয়োজন নেই সম্পূর্ণ হাতের তৈরি। আর হাতের তৈরি জিনিসের চাহিদা সবসময় বেশি থাকে এবং দামও বেশি হয়।

হাতের তৈরি জিনিস যেমন হাতের তৈরি ব্রেসলেট, নেকলেস, বালা, কানের দুল। হাতের তৈরি কাপড় যেমন সিল্কের শাড়ি সুতি শাড়ি, উলের শাড়ি তৈরি করতে পারবেন। এখন অনলাইনে বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফ্ট ব্যাগ পাওয়া যায় যে ব্যাগগুলোতে সুন্দর করে আর্ট করা থাকে। শার্টের উপর নিজে হাতে আর্ট করে বিক্রি করতে পারবেন। দারাজ থেকে বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেছে পণ্যগুলোকে আরো বেশি জাঁকজমকপূর্ণ করে বেশি দামে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। 

কাঠের চেয়ার টেবিল তৈরি করতে পারবেন পেইন্টিং করতে পারবেন। অথবা সুতি কাপড়ের ওপর ফুল তৈরি করতে পারবেন। কিংবা ফুলদানি তৈরি করতে পারবেন। পণ্যগুলো তৈরি করে অনলাইন এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন যেমন ফেসবুক এখন মার্কেটিং এর জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক ওপেন করলে বিভিন্ন প্রোডাক্ট দেখা যায় এইগুলোই মূলত ফেসবুক মার্কেটিং। তারা ঘরে বসেই হাজার হাজার ক্রেতাদের কাছে তাদের পণ্যগুলো বিক্রি করছে।

মার্কেটিং করার জন্য আপনার অবশ্যই একটি পেজ থাকার জরুরি এবং সেই পেজে ভালো ফলোয়ার্স থাকতে হবে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে প্রথমে কিছু ফলোয়ার্স ক্রয় করে নিতে পারেন। প্রথমে দশ হাজার ফলোয়ার ক্রয় করে নিলে পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে ফলোয়ার্স বাড়তে থাকবে এবং এখন থেকেই পণ্য বিক্রয় করা শুরু করতে পারবেন। কেক ব্যাগ করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। 

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ঘরে বসে ভাতের কাজ করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব অনলাইনে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় কি এবং মহিলাদের ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার উপায় কি। আজকের এই পোস্টে আমরা কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব সম্পর্কে আলোচনা করলাম। ওপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে আশা করছি আপনি খুব দ্রুত টাকা ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্ন : টিউশনি এর কাজ করিয়ে কত টাকা ইনকাম করা যায়? 
উত্তর : বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্টুডেন্টটি এখন পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট ছেলে মেয়েদেরকে টিউশনি করি টাকা উপার্জন করছেন। কোন প্রকার মূলধন ছাড়া এই কাজটি করা যায় এবং ইনকাম করা যায় এইজন্য বেশি শিক্ষার্থীরাই এখন টিউশনের কাজকে বেছে নিচ্ছেন। 

টিউশনের কাজ করলে কত টাকা ইনকাম করা যায় সেই বিষয়ে ক্লিয়ার বলা খুবই মুশকিল কারণ প্রত্যেকের সাবজেক্টের উপর বেতন নির্ভর করে এবং আপনি কতজনকে পড়াচ্ছেন সেই বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ।। 

আপনি যদি ১০ থেকে ১২ জনকে টিউশনি পড়েন তাহলে প্রতি মাসে প্রায় বিশ হাজার থেকে বাইশ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন আর যদি ৫ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থীকে পড়ান তাহলে প্রতি মাসে ৬০০০ থেকে ৭ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

প্রশ্ন : ঘরে বসে হাতের কাজ কি কি রয়েছে?
উত্তর : ঘরে বসে হাতের কাজ করতে পারবেন হাতের কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন এখন প্রশ্ন হলো ঘরে বসে হাতের কাজ কি কি? কোন কাজ করে বেশি উপার্জন করা যায়? ঘরে বসে শাড়ি বলতে পারবেন জামার উপর ব্লক বাটি কাজ করতে পারবেন কিংবা জামার উপর সুতা দিয়ে সুন্দর নকশা করতে পারবেন। 

আপনি যদি ৮ ভালো পারেন তাহলে যেকোনো ব্যাগ অথবা সার কিংবা শাড়ির উপর আর্ট প্রিন্ট করতে পারবেন। অথবা বাসায় ফুলদানি তৈরি করতে পারবেন। রিবন কাপড় দিয়ে ফুলদানির ফুল বানিয়ে বাজারে চড়া মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন। অথবা বাসায় গৃহপালিত বাড়িতে পশুপাখি লালন পালন করতে পারবেন। ঘরে বসে আরও বিভিন্ন হাতের কাজ রয়েছে যেমন: বই লিখতে পারেন অথবা নকশি কাঁথা সেলাই করতে পারেন। 

প্রশ্ন : মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার উপায়?
উত্তর: মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। আমার মতে মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করার সবচেয়ে সেরা হবে কারণ এখন ফ্রিল্যান্সিং করে খুব সহজে মোটা টাকা ইনকাম করা যায় এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় সাথী ঘরে বসে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে ওপরে দেখুন আমরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কয়েকটি কাজ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। 

উপসংহার: স্টুডেন্টদের জন্য দুর্দান্ত পার্ট টাইম জব/ Bd Jobs 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই পোস্টে আমরা দেখলাম ঘরে বসে হাতের কাজ করার উপায় গুলো টিউশনি কাজ করে টাকা ইনকাম কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব অনলাইন এফবিতে টাকা ইনকাম করার উপায় মহিলাদের ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো। বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উদ্যোগটি সম্পর্কিত আমরা প্রত্যেকে অবগত রয়েছি এবং এত চড়া দাম দিয়ে স্টুডেন্টদের পক্ষে দৈনন্দিন কোন সামগ্রিক ক্রয় করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। 

এক্ষেত্রে জরুরি মুহূর্তে একটি পার্ট টাইম জবের প্রয়োজন । পার্ট টাইম জব করলে খুব সহজেই দৈনন্দিন কোনো সামগ্রীগুলো দৈনন্দিন চাহিদাগুলো মেটাতে পারবো। এইজন্য আজকের এই পোস্টটি শিক্ষার্থীদের জন্য অথবা স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। বর্তমান সময়ে ইনকাম করা খুবই সহজ আগে ইনকাম করা অনেক কঠিন ছিল তবে বর্তমান যুগে এখন সহজে দিনে ১০০০ টাকা ইনকাম করা যায়। 

অফলাইন পদ্ধতির তুলনায় অনলাইন পদ্ধতিতে ইনকাম করা বেশি সহজ অনলাইনে দুই থেকে তিন ঘন্টা কাজ করলে অনায়াসে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন তবে অফলাইন পদ্ধতিতে দিনে ১০০০ টাকা ইনকাম করার জন্য ৫ থেকে ৬ ঘন্টা খাটাখাটনি করতে হবে। আপনি যদি পার্ট টাইম জব করতে চান তাহলে ওপরে দেখুন আমরা স্টুডেন্টদের জন্য দুর্দান্ত পার্ট টাইম জব/Bd Jobs সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম উপরের এই জব গুলো পড়লে আশা করছি আপনার আগামী দিন গুলো বদলে যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url